ওয়ারিশ সম্পত্তি বা পৈত্রিক সম্পত্তি ক্রয়ের আগে যে তিনটি ডকুমেন্ট দেখে নিবেন

ওয়ারিশ সম্পত্তি বা পৈত্রিক সম্পত্তি ক্রয়ের আগে তিনটি ডকুমেন্ট দেখে নিবেন। তিনটি ডকুমেন্ট না থাকলে ক্রয় বায়নাপত্র লেনদেন করবেন না।

 

✓ডকুমেন্টগুলো হলো:

 

১) ওয়ারিশ সনদ পত্র।

২) পারিবারিক ভাগবন্টন রেজিস্ট্রেশন দলিল

৩) নামজারি, খতিয়ান। তারপর অন্যান্য কিছু বিষয় দেখতে হবে।

 

✔️যেমন: বিক্রেতা যে সূত্রে মালিক হলো, তার পূর্বের মালিক কোন সূত্রে মালিক তার দলিল খতিয়ান কপি যাচাই বাছাই করে নিবে।

 

এই তিনিটি ডকুমেন্ট যার কাছে না থাকবে তার দখলে থাকুক বা পারিবারিক মৌখিক বন্টন হউক আপনি ক্রয় করবেন না।

✓অনেকেই মৃত পিতা মাতার নামের সম্পত্তি অন্যান্য ভাইবোন ওয়ারিশদের না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করে দেয়।

✓কেউ কেউ যতটুকু অংশ পাবে তার বেশি বিক্রি করে ফেলে।

✓কেউ কেউ আছেন ভালো পজিশনের জমি বিক্রি করে দেন।

✓কেউ কেউ আছেন ওয়ারিশদের অংশও বিক্রি করে ফেলেন।

✓কেউ কেউ আছেন পারিবারিক মৌখিকভাবে ভাগের অংশ বিক্রি করেন।

 

মৌখিক ভাগ কোনো দলিল নয়। মৌখিক বন্টনের কোনো মূল্য নেই। মৌখিক কথার দাম নেই। এক লোক দীর্ঘ বছর ধরে পারিবারিক মৌখিক ভাগ করা জমি ভোগদখল করে আসছে,,, জমিটার মূল্য অন্যান্য জমির চেয়ে অনেক বেশি,,, বেশি দাম হওয়াতে তারই এক ভাই জমিটির অংশ দাবি করল,,, সবাই যতই বলে মৌখিক ভাগের কথা, ভাই তা মানতে রাজি নয়,,, ভাই বলছে মৌখিক ভাগ মানিনা, পুনরায় ভাগবন্টন করতে হবে।

 

তারা মৌখিক ভাগ না করে পারিবারিক বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিল করে নিলে ভাই কখনোই দাবী করলে তা আইন সম্মত হতো না। তাই বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

ওয়ারিশ সনদ, বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিল, যার আছে তার সম্পত্তিতে কখনোই কোনো ওয়ারিশ ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করতে পারবেনা। ওয়ারিশ সনদ পত্রটি প্রমাণ করে যে প্রত্যেক ওয়ারিশ সম্পত্তির মালিক। বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিল প্রমাণ করে যে প্রত্যেক ওয়ারিশের সম্মত্তিতে বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিল করা হয়। আবার দেখতে হবে ওয়ারিশ সনদ সঠিক কি না, প্রত্যেক ওয়ারিশের নাম সঠিকভাবে উল্লেখ্য আছে কি না,,, বন্টননামা রেজিস্ট্রেশন দলিলে প্রত্যেক ওয়ারিশের স্বাক্ষর নাম, ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ্য কি না।

 

অনেকেই বোনের অংশ না দিয়ে, বিক্রি করে দেন, যিনি ক্রয় করেন সেই লোক বিপদে পড়ে। কারণ ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত ছিল বিক্রেতা কোন সূত্রে সম্পত্তির মালিক, সেসব ডকুমেন্ট দেখা উচিত ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি হলে বা ওয়ারিশ সম্পত্তি হলে ক্রয়ের আগে ওয়ারিশ সনদ, রেজিস্ট্রেশন করা বন্টননামা দলিল, নামজারি, খতিয়ান, এগুলো দেখা। এগুলো না দেখে ক্রয় করলে অন্যান্য ওয়ারিশরা অভিযোগ সালিস মামলা করলে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।

সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *