চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথায়/চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথায়?
উত্তর: ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।
চর্যাপদ
বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ; এটি প্রাচীন যুগের একমাত্র সৃষ্টি।
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১৩১৪) মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১৩২৩) চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা এবং ডাকার্ণব এই চারটি পুঁথি একত্রিত করে “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” থেকে “হাজার বছরের পুরান বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে প্রকাশ করেন।
✓চর্যাপদের আবিষ্কৃত পদের সংখ্যা সাড়ে ছেচল্লিশটি। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে পদের সংখ্যা ৫০ টি এবং সুকুমার সেনের মতে, পদের সংখ্যা ৫১ টি।
✓২৩ নং পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া যায় এবং ২৪,২৫ এবং ৪৮ নং পদগুলো পাওয়া যায়নি।
✓চর্যাপদের প্রথম পদটির রচিয়তা লুইপা।
✓চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেছেন কাহ্নপা (১৩ টি) যার অন্য নাম কৃষ্ণাচার্য।
✓অনেকের মতে কুক্কুরীপা নারী পদকর্তা ছিলেন।
✓ ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ওর মতে “শবরপা ও ভুসুকুপা” বাঙালি ছিলেন।
✓হরিপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের ভাষার নাম দিয়েছেন “সন্ধ্যা ভাষা বা আলো-আঁধারি ভাষা।”
✓ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা – বঙ্গকামরূপী।
✓চর্যাপদের ভাষা বাংলা- প্রমাণ করেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
✓চর্যাপদের টীকাকার -মুনি দত্ত।
✓আধুনিক ছন্দ বিচারে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
✓চর্যাপদের অন্য নাম চর্যাগীতিকোষ, দোহাকোষ